মুক্তিযুদ্ধ ও শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে মাদার তেরেসা গোল্ড মেডেল-২০২১ পেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. ফজলুল হক। তিনি দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও মেডিসিন সার্জারি অ্যান্ড অবস্টেট্রিক্স বিভাগের অধ্যাপক।
২৬ সেপ্টেম্বর মানবাধিকার ও পরিবেশ সাংবাদিক সোসাইটির (মাপসাস) উদ্যোগে ঢাকার পল্টন টাওয়ারে মাদার তেরেসা গুণীজন সম্মাননা-২০২১ অনুষ্ঠিত হয়। এতে মুক্তিযুদ্ধ ও শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মো. ফজলুল হককে সম্মাননা ক্রেস্ট, গোল্ড মেডেল ও সনদ প্রদান করা হয়।
অধ্যাপক ডা. মো. ফজলুল হক বলেন, ‘আমাকে মাদার তেরেসা গোল্ড মেডেল-২০২১ এর জন্য নির্বাচিত করায় আমি মাপসাসকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। গুণীজনের এমন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু কাজের ব্যস্ততার জন্য যেতে পারিনি। এ জন্য দুঃখিত। মুজিব জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে তাদের এই সম্মাননা ও সনদপত্র প্রদান আমার কাজের অনুপ্রেরণা জোগাবে।
আমি যতদিন বেঁচে আছি দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে যাবো।’ বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মো. ফজলুল হক তাঁর বিভিন্ন কাজের অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা, মাতৃভাষা সম্মাননা, জেনারেল এমএজি ওসমানী সম্মাননা, মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ড, দানবীর হাজী মুহম্মদ মহসীন আজীবন সম্মাননা, করোনায় সচেতনতা সৃষ্টির স্বীকৃতি হিসেবে নেপাল-বাংলাদেশ বন্ধু সংঘের পক্ষ থেকে কভিড-১৯ যোদ্ধা, স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী সম্মাননাসহ বিভিন্ন সম্মাননা ও পদকে ভূষিত হয়েছেন।
এছাড়া বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসে কর্মরত থাকাকালীন ডাকাত দলের দুই সদস্যকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে সোপর্দ করায় বীরত্বের সম্মাননা হিসেবে একটি এসবিবিএল গান পুরস্কার লাভ করেন। শিক্ষকতা জীবনে দেশ-বিদেশের আন্তর্জাতিক জার্নালে তার ২৩টিরও অধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। গবাদিপশুর জটিল রোগের চিকিৎসায় অধ্যাপক ডা.ফজলুল হক একজন নামকরা ভেটেরিনারি সার্জন হিসেবে দেশব্যপী পরিচিত।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।